|| ভাইভা বোর্ডঃ ক্যান্ডিডেট গেট আপ ||
কথায় আছে আগে দর্শনধারী পরে গুনবিচারী। যদিও কথাটি সব সময় ঠিক নয়। তবে কোন পরিবেশে আপনি নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করবেন, সেটা নির্ভর করে আপনার স্মার্টনেসের উপর। যা বাড়তি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কাজ করবে। হয়তো বোর্ডের কর্মকর্তারা আপনার আউটলুকে খুশি হয়ে কিছুটা নমনীয় হতে পারেন।
চলুন জেনে নেই কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করবেন-
১. পোশাক- সর্বপ্রথম সবার চোখে যে বিষয়টি ধরা পড়ে তা হচ্ছে পোশাক। তাহলে কেমন হবে আপনার পোশাক? আমরা সবাই কম-বেশি জানি ফর্মান ড্রেস মানে সাদা শার্ট এবং কালো প্যান্ট। কিন্তু আপনি এর বাইরেও পরতে পারেন অন্যান্য ড্রেস। তবে ড্রেসটি হতে হবে মার্জিত রুচিশীল।
আপনি আপনার গায়ের রঙয়ের সাথে ম্যাচিং করে পরতে পারেন ফর্মাল পোশাক। হালকা কালারের মধ্যে- এ্যাশ, চিকন চেক/স্টাইপের শার্ট। ঠিক শার্টের সাথে ম্যাচিং করে প্যান্ট এবং জুতা।
শার্টের হাতা কখনই হাফ বা ফোল্ড করে রাখবেন না। সাথে আপনার প্যান্টের বেল্টটি যেন মানানসই হয় সেদিকে দৃষ্টি দিবেন।
২. চুল- আপনার সৌন্দর্য, আপনার স্মার্টনেস আরও বেশি প্রকাশ করে চুল/হেয়ার কাটের উপর। আপনার ফেসের সেপ/আকৃতির উপর ডিপেন্ড করে আপনার হেয়ারকাট। সুতরাং সেইভাবে চুল সুন্দর করে কেটে এবং ব্রাশ করে যাবেন।
৩. দাঁড়ি সেভ- কখনই ভাইভা বোর্ডে খোঁচা খোঁচা মুখ ভর্তি দাঁড়ি নিয়ে যাবেন না। যদি দাঁড়ি একান্তই সেভ না করতে চান তবে ছেটে-কেটে সুন্দর লুক করে তারপরে যাবেন।
৪. বডিস্প্রে/পারফিউম- আপনার স্মার্টনেসের আরও একধাপ হল সুগন্ধি ব্যাবহার। কড়া বা ঝাঝালো কোন বডিস্প্রে বা পারফিউম ব্যবহার করবেন না। আপনার ভাল লাগে এবং অন্যদেরও ভাল লাগে এমন ব্রান্ডের পারফিউম/বডিস্প্রে ব্যবহার করুন। কম মূল্যমানের বডিস্প্রেতে অনেক সময় আপনার শার্টে স্পট পড়ে যেতে পারে।
৫. নখ- হাত-পায়ের নখ কেটে সুন্দর করে যাবেন।
৬. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন- আপনার শার্ট, প্যান্ট, জুতা, বেল্ট যেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আয়রন করা এবং পালিশ করা হয়। কখনই ভাইভা বোর্ডে কেটস/লোভার/কনভার্স/স্লিপার জাতীয় জুতা এবং টি-শার্ট, পলো শার্ট, অনেক উজ্জ্বল রঙের বা চোখ ধাঁধাঁনো পোশাক পরে যাবেন না।
৭. আপনার পড়াশুনার বিষয়- আপনি যে যে বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন তার একটি ওভারঅল ধারনা নিয়ে যাবেন।
৮. নিজের অঞ্চল সম্পর্কে ধারনা- আপনার জন্মস্থান সম্পর্কে, নিজ জেলা, নিজের স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি এবং যেখানে ভাইভা দিতে গেছেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভাল ধারনা নিয়ে যাবেন।
৯. সমসাময়িক জ্ঞান- আজ-কাল বা দু’দিন আগে আলোচিত ঘটনাগুলি জেনে নিন এবং উপস্থিত বুদ্ধির উপর একটু দখল রাখুন।
১০. মনে সাহস রাখুন- নিজেকে দুর্বল ভাববেন না কখনই। মনে সাহস সঞ্চার করুন। যে যেই ধর্মালম্বী সে সেই ধর্মের উপর আস্থা/বিশ্বাস রেখে ভাইভা বোর্ডে যাবেন। সবার সাথে মিষ্টি হাসি নিয়ে প্রফুল্লচিত্তে কথা বলুন। যদি কোন বিষয় অজানা থাকে তবে নিচু স্বরে বিনয়ের সাথে বলুন- জানা নেই। কখনই তর্কে যাবেন না। কোন কথা বলতে চাইলে অনুমতি নিয়ে বলবেন।
ভাইভা বোর্ডে যাবার পুর্বে টাইম/সময় সম্পর্কে সচেতন হয়ে যাবেন। হাতে ঘড়ি পরবেন। অবশ্যই মোবাইল বন্ধ রাখবেন। প্রয়োজনীয় কাগজ/কলম এবং ফাইলপত্র সঙ্গে রাখুন
___________
___________
No comments