প্রয়োজনীয় কিছু শুদ্ধ বানান

📝 ব্যাকরণ বিধিবহির্ভূত কতগুলো ভুল পদ্ধতি যথা -মোঃ, ডাঃ, লিঃ, খ্রিঃ, প্রোঃ, সঃ, পিং, পীং, ইং, নং, সাং/এস,এস,সি/এস.এস.সি/ এইচ,এস,সি/এইচ.এস.সি/এম,এ/এম.এ/বি,এ/বি.এ/বি,এস,সি/ বিএস,সি/ষ্টোর/ষ্টেশন/ষ্টাফ/ষ্টার/ম্যাজিষ্ট্রেট/রেজিষ্টার//S,S,C/S.S.C/H,S,C/B,A/B.A/B,Sc/ B.Sc/M,A/M.A/C,W/C.W(Class Work)/H,W/H.W(Home Work) অনেক শিক্ষক তথা বিভিন্ন লেখকের বই বা ব্যাকরণে দাপটের সাথে রাজত্ব করছে যা বোধগম্য নয়। অথচ
ব্যাকরণের সংক্ষেপিকরণের নিয়মানুযায়ী এগুলোর শুদ্ধরূপ -- মো./মু., ডা., লি., প্রো., প্রা., স., পিতা, ইংরেজি (তারিখ লেখার ক্ষেত্রে ইং বা ইংরেজি না লিখে খ্রিষ্টাব্দ/খ্রি. হওয়ার কথা), এস.এস.সি./এসএসসি, এইচ.এস.সি./এইচএসসি, স্টোর/স্টেশন, স্টাফ/স্টার, ম্যাজিস্ট্রেট/রেজিস্টার, রেজিস্ট্রার/S.S.C., SSC/H.S.C., B.A./BA, B.Sc./BSc, M.A./MA, C.W./CW(Class Work/H.W. (Home Work) অর্থাৎ
ব্যাকরণের সংক্ষেপিকরণের ক্ষেত্রে (ইংরেজি বা বাংলা উভয়ক্ষেত্রে) ‘. (ফুলস্টপ)’ এর কথা বলা হয়েছে। কোথাও , (কমা) বা ঃ (বিসর্গ) এর কথা উল্লেখ নেই।
📝 এস. এস. সি (সি-এর পরে ‘.’ না দিলে) এভাবে লিখলে পুরো অর্থ দাঁড়ায়- সেকেন্ডারি স্কুল সি। আর এস. এস. সি. এভাবে লিখলে পুরো অর্থ দাঁড়ায়- সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট।
📝 বি. এ এভাবে লিখলে পুরো অর্থ দাঁড়ায়- ব্যাচেলর অব এ। আর বি. এ. এভাবে লিখলে পুরো অর্থ দাঁড়ায়- ব্যাচেলর অব আর্টস। তাহলে কোনটা লেখা উচিত?
📝 বিদেশি শব্দে ঈ, ঊ, ঋ, ী-কার, ও ৃ কার ব্যবহার করা যায় না। আবার বিদেশি শব্দে ঙ, ছ, ঞ, ঢ, ণ, য, ষ, ৎ ও ঃ বর্ণগুলো কখনো ব্যবহার করা যায় না।
📝 স্কুল-কলেজের বিভিন্ন সনদপত্র/প্রশংসাপত্র লিখতে গিয়ে ‘সনদ’ এবং ‘পত্র’-কে আলাদা করে লেখা হয় যা মোটেও শুদ্ধ হতে পারেনা। শুদ্ধ হবে ‘সনদপত্র’(দুটি শব্দ সংযোগ করে)।
এছাড়াও পরাশ্রিত শব্দ বা বর্ণসমষ্টিগুলোকে আলাদা করে লিখে যেন লেখার নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। যেমন- বই গুলি, শিক্ষক বৃন্দ, সেবা সমূহ, বিচারক সহ, সম্মান জনক, জেলা ভিত্তিক, অনুগ্রহ পূর্বক, জন গণ, বাংলা দেশ ................... । এ শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক না করে একসাথে লেখার কথা, যেমন- বইগুলি, শিক্ষকবৃন্দ, সেবাসমূহ, বিচারকসহ, সম্মানজনক, জেলাভিত্তিক, অনুগ্রহপূর্বক, জনগণ, বাংলাদেশ।
📝 বিসিএস পরীক্ষার বইতে লেখে ‘বি,সি,এস’
এভাবে যারা বাংলাভাষার রক্ষকের ভূমিকায় তাঁরাই যদি বাংলাভাষাকে ভক্ষন করে ফেলেন তাহলে আর কয়দিন ভাষা বেঁচে থাকবে।
📝 ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-কে লিখা হয় ডাঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
📝 হাজী মুহম্মদ মুহসীনকে লিখা হয় হাজী মোহাম্মদ মহসীন
📝 আধুনিক বানানরীতি অনুসারে সরকারি, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, কলোনি, স্পিকার শুদ্ধ (যদিও অনেক ক্ষেত্রে সরকারী, জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী, কলোনী, স্পীকার লেখা হয়)।
📝 ইংরেজিভাষা থেকে আগত শব্দগুলোর ক্ষেত্রে ‘ ী’ বর্জন করে ‘’ি ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। তারিখ লিখতে লা, রা, ই বর্জন করাই শোভন এবং আধুনিক। প্রধানতঃ, সাধারণতঃ, মূলতঃ না লিখে প্রধানত, সাধারণত, মূলত লেখাই আধুনিক।
📝 স-এর পর ন এবং ষ-এর পর ণ ব্যবহার করতে হবে।
📝 ভূগোল ও দূরান্ত লিখতে ূ-কার হবে কিন্তু ভুবন ও দুরন্ত লিখতে ু কার হবে।
📝 হিজরি, ইংরেজি, খ্রিষ্টাব্দ, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, প্রাইমারি, লাইব্রেরি, লিগ, নোটিস, ডিগ্রি, ট্রাস্ট, স্ট্রিট, স্টিল, স্টেশন, পোস্ট অফিস, অ্যাকাডেমি, উচিত, নাতসি, হেমায়েত, সাহাদাত, লুতফর, ফোরাত ইত্যাদি শুদ্ধ বানান।
ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত

No comments

Powered by Blogger.