জেনে নিন একজন সহকারী জজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে।
সহকারী জজ
জেনে নিন একজন সহকারী জজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে।
বিচার বিভাগ বাংলাদেশ সরকারের একটি স্বাধীন বিভাগ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলার স্বচ্ছ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিচার বিভাগ প্রতি বছর দক্ষ, যোগ্য ও আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন’ (বিজেএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সহকারী জজদের বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন জেলায় বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে।
সাধারণ পদবী: সহকারী জজ
বিভাগ: আইন ও বিচার বিভাগ
কর্মস্থল: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন জেলার সহকারী জজ কোর্টগুলোতে
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল টাইম
লেভেল: এন্ট্রি
অভিজ্ঞতা: পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। বিজেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ‘জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ এ বিভিন্ন মেয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এছাড়া যোগদানের পরও দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়
বেতন সীমা: ৳৩০,৯৩৫-৳৬৮৪৩০ ও ২০১৬ সালে সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলে গৃহীত অন্যান্য সুবিধাদি
বয়স সীমা: বিসিএস সার্কুলার যে মাসে দেওয়া হবে সে মাসের প্রথম দিন ০১ মার্চ পর্যন্ত অনধিক ৩২ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
মূল স্কিল: আইন সম্পর্কিত জ্ঞান
একজন সহকারী জজ কী ধরনের কোর্টে কাজ করেন?
- জেলা কোর্ট
- সহকারী জজ কোর্ট
একজন সহকারী জজ কী ধরনের কাজ করেন?
- সহকারী জজ কোর্টের অধীন সকল দেওয়ানী-ফৌজদারি মামলার বিচার করা।
- সমস্ত বিবাহবিচ্ছেদ, বিভাজন, গার্হস্থ্য সহিংসতা এবং সিভিল মামলার নিষ্পত্তি করা।
- সহকারী জজ ফাইলিং এবং অনুলিপি প্রস্তুত করা ।
- আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া, আদালতকে আদেশ প্রদান এবং আদালতের চিঠিপত্রের প্রতিলিপি লিপিবদ্ধ করা।
- শিডিউল ট্রায়াল এবং আদালতের শুনানির ব্যবস্থাপনা।
একজন সহকারী জজের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
বাংলাদেশ যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ন্যূনতম ২য় বিভাগে স্নাতক (এলএলবি)। যেমনঃ
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
একজন সহকারী জজের কী কী দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
- আইন সম্পর্কে ভাল জ্ঞান
- সঠিক ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার বিচক্ষণতা
- সততা ও অন্যায়ের সাথে আপোষহীনতার মানসিকতা
- ধৈর্য
বিজেএসসি পরীক্ষার ধাপ কী কী?
শুরুতে প্রিলিমিনারি টেস্ট হয় যেখানে ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনি প্রশ্নে পরীক্ষা হয়। এ ধাপে উত্তীর্ণ হলে ১২০০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষায় ৫০ ভাগ নাম্বার পাওয়া পরীক্ষার্থীদের ১০০ নাম্বারের ভাইভা পরীক্ষার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একজন সহকারী জজের কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ কেমন?
বাংলাদেশের জেলার সহকারী জজ কোর্টে প্রাথমিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদক্রমানুসারে ধীরে ধীরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত হতে পারেন।
একজন সহকারী জজের মাসিক আয় কেমন?
২০১৬ সালের বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলে মূল বেতন ৳৩০৯৩৫-৳৬৮৪৩০ ও অন্যান্য সুবিধাদি দেয়া হয়।
ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন সহকারী জজের?
জাতীয় পর্যায়ে বর্তমানে সহকারী জজের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে কারণ বাংলাদেশে মামলা নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত বিচারক নেই জেলা ও অন্যান্য কোর্টগুলোতে এছাড়াও চাকরি ক্ষেত্রে একজন বিচারপতি দেশের অন্যান্য সরকারী চাকরির তুলনায় সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা ও সম্মান পান এবং ক্রমান্বয়ে পদোন্নতির মাধ্যমে সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ার সুযোগ পান।
No comments