সিভি বাছাই ও নিয়োগের অভিজ্ঞতা থেকে আবারো কিছু পরামর্শ:
১. এখানে আমরা লোক চেয়েছি প্রোডাকশন ম্যানেজার, কেন সেখানে ফ্রেশ কৃষি ডিপ্লোমা, এলএলবি, বোটানি, জোলজি, বাংলা থেকে অনার্স মাষ্টার্স করে সিভি পাঠাতে হবে? যে কোন চাকুরীতে আবেদনের পূর্বে সেই পদের সাথে নূন্যতম সংযোগ না থাকলে আবেদন করা উচিত নয়। এরকম সিভি আছে ৫০০র মধ্যে ৩৫০।
২. একই সিভি ফটোকপি করে সব পদের জন্য দিয়ে দিলেন!? উচিত হল যে জবের জন্য আবেদন করছেন সেই মাফিক সিভি এডিট করা।
৩. একের পর এক ডিগ্রী নিয়ে মাষ্টার্স শেষ করেছেন অথচ সিভিতে কোথাও কোন কাজের অভিজ্ঞতা নেই। উচিত হল অনার্স লেভেলে পড়ার সময় বা স্কুল কলেজ থেকে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম, ডিবেট, নানারকম ক্লাব ও ভলান্টিয়ারি কাজে যুক্ত থাকা। এটলিষ্ট সিভিতে আমরা একজন ফ্রেশ প্রার্থীর ক্ষেত্রে কিছু একটা সে পড়াশোনা আর মুখস্থ করে পাশ করার বাইরে করেছে সেটা খুঁজি। যদি কোন পার্টটাইম জব যোগাড় না করতে পারেন তবে ছাত্র জীবনে বা পাশের পরে বেতনের জন্য বসে না থেকে কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রয়োজনে বিনা পয়সায় এমনি কাজ করেন দেখবেন সিভিতে অভিজ্ঞতা লিখতে পারছেন।
আরো অনেক সমস্যা আছে যেসব কারনে হাজার হাজার সিভি থেকে একজন পছন্দের লোক বাছাই করা যায় না। আমার মতে দেশে এত বেশি এমএ/বিএ বা এমন সব ডিগ্রী ধারী বেশি যাদের নির্দিষ্ট কোন কাজের স্কিল নেই। হয়ত কেন প্রতিষ্ঠান তাকে নিয়ে কোন কাজ শেখালে পারবে। বর্তমান সময় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বা ইন্ডাষ্ট্রির সেই সুযোগ কম কারন প্রচুর প্রতিযোগিতাময় বাজার। সুতরাং এত এত ডিগ্রীর থেকে জাতীয় পর্যায় থেকে বিশেষ কাজে পারদর্শী করার উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে প্রতি বছর ২০ লক্ষ মানুষ শ্রম বাজারে যুক্ত অন্যদিকে জব তৈরি হয় ৩-৫ লক্ষ, এক্ষেত্রে তাদের নিয়ে অবস্থা বেসামাল হয়ে যাবে।
লিখেছেনঃ বদিউজ্জামান বদি
এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, ম্যানগ্রোভ ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ই-লাইফ
এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, ম্যানগ্রোভ ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ই-লাইফ
No comments